সৈয়দ ইফতেখার হোসেন, লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক
যেকোনো নতুন বছর কিছু একটা ভালো খবর দিয়ে মানুষ সাধারণত শুরু করতে চায়। না, তা পারা গেল না এবার আওয়ামী লীগবিহীন ক্ষমতা জবরদখলকারী বাংলাদেশে। প্রথম ধাক্কাটা খেল স্কুলের কোমলমতি বাচ্চারা। গত ১৫ বছর যতদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল দেশের প্রাইমারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর পড়–য়ারা বছর প্রথম দিনেই স্কুলে গিয়ে বিনামূল্যে বই পেয়েছে যার সংখ্যা প্রায় চার কোটি।
এটি বিশ্বে একটি নজিরবিহীন ঘটনা ছিল। এবার তা হলো না। না হওয়ার অনেক কারণের একটি বড় কারণ হলো বই ছাপার আন্তর্জাতিক টেন্ডার বাতিল । সাধারণত এই টেন্ডারে অংশ নিয়ে ছাপার কাজটি পায় পশ্চিমবঙ্গের প্রকাশকরা কারণ তাদের মূদ্রণের সক্ষমতা অনেক বেশি। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রকাশকদের সক্ষমতার ঘাটতিতো আছেই তার উপর তারা এই সময়ে একুশের বই মেলার জন্য পুস্তক মূদ্রণের কাজে ব্যস্ত থাকে।
এবার ‘বয়কট ইন্ডিয়া’ করতে গিয়ে স্কুলের বই মূদ্রণের কাজ বাংলাদেশেই করার চেষ্টা করে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিল শিক্ষা মন্ত্রনালয় আর জাতীয় টেক্সট বুক বোর্ড। এই ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডেও কর্ণধার ঘোষণা করেছেন বছরের পর বছর বই উৎসবের নামে অর্থ অপচয় হয়েছে। অথচ এবার দেশে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রনের জন্য আটশত কোটি টাকা বেশী বরাদ্ধ পেয়েছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ । সব অপদার্থেদেও অক্ষমতা ঢাকতে একটা অজুহাত তো প্রয়োজন হয়। তবে এবার তেমেন কোন যুৎসই অজুহাতও দেয়া গেলো না । বছরের শেষ দিনে সামান্য দুই একটা বই দেয়া হলেও অন্যদেও জানিয়ে দেয়া হলো অনলাইনে বই ডাউনলোড করে পড়তে ।
দেশের ক’জন অভিভাবক আছেন যারা তাদের সন্তানদের এই সুবিধা দিতে পারেন? জানা গেলো মার্চনাগাদ নূতন বই পাওয়া যেতে পারে। তখন রমজানের জন্য এক মাসের স্কুল বন্ধ শুরু হবে। আর এরই মধ্যে বাংলাদেশের মেট্রো রেলের কয়েক হাজার টিকেট ছাপার কাজ গেল ভারতে। অথচ পাঠ্য পুস্তক মুদ্রণে সে কি লজ্জা । তবে বছরের সবচেয়ে আতঙ্কজনক সংবাদটি একাধিক গণমাধ্যম তাদের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করেছে। সরকারের অপছন্দের কোনো সংবাদ কোনো গণমাধ্যম তাদের প্রিন্ট সংষ্করণে প্রকাশ করতে পারে না।
অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আছে। অন্যদিকে ইউনূস ও তাঁর ২ সভাপারিষদরা নিয়মিত বলে থাকেন যে, কোনো গণমাধ্যম সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে কোনো বাধা নেই। অথচ ইউনুস সরকারের আমলে দেশের প্রায় শ’ খানেক সাংবাদিক মাথায় হত্যা মামলা নিয়ে ফেরারি জীবন যাপন করছেন। কারাগারে আটক আছেন আরো ডজন খানেক সাংবাদিক। এটি একটি বিশ্ব রেকর্ড।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বর্তমান করুণ অবস্থা দেখে ফ্রান্সভিত্তিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মনিটরিং সংস্থা রিপোটার্স সানস ফ্রন্টিয়ার, আরএফএস, বাংলাদেশকে সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বে তৃতীয় বিপজ্জনক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সদ্য প্রকাশিত আতঙ্কজনক সংবাদটির একটি শিরোনাম হচ্ছে ‘অর্থনৈতিক সংকটের গভীর চোরাবালিতে বাংলাদেশে’। তেমন আর একটি শিরোনাম হচ্ছে ‘দুই কোটির জীবিকায় টান’। অন্য আর একটিতে শিরোনাম করেছে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির সর্বনাশ. আসছে মন্দা’।
ইউনুসের পাঁচ মাসের শাসনামলের এই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির যৎসামান্য চালচিত্র। বর্তমানে আমন ধান কাটার মৌসুম। এই কাজে সারা দেশে আনুমানিক চার কোটি মানুষ পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে। এই ধান কাটার মৌসুম শেষ হয়ে গেলে প্রায় অর্ধেক কৃষি শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বে। তারাও মারাত্মক অর্থনৈতিক চাপে পড়বে। যারা একবেলা খেয়ে বাঁচার চেষ্টা করবে তাদের ভাগ্যবানই বলতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক ভুল ত্রুটি ছিল। অর্থপাচার, ব্যাংক ডাকাতিসহ অনেক অপকর্মের সঙ্গে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা জড়িত ছিলেন তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই । কিন্তু এটিও অস্বীকার করার উপায় নেই দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি (মাইক্রো) মানুষের নাগালের ভিতরে ছিল। দেশে যেহেতু অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলমান ছিল, সেহেতু সাধারণ মধ্যভিত্ত ওনিম্নমধ্যবিত্তের দৈনন্দিন খরচ চালানোর অর্থ হাতে ছিল যা আজ তাদের হাতে নেই। ইউনুস ক্ষমতা দখল করার পর দেশে সব উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ উন্নয়ন সহযোগীরা একটি ক্ষমতা দখলকারী অসাংবিধানিক সরকারকে অর্থ সহায়তা দিতে দ্বিধান্বিত।
আওয়ামী লীগকে জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত করার পূর্বে বাংলাদেশের অর্থনীতির পরিমান ছিল প্রায় ৪৬০ বিলিয়ন ডলারের ওপর। এক ডলারের মূল্য যখন ১০০ টাকার নীচে ছিল তখন মাথা পিছু আয় ছিল দুই হাজার ৮০০ ডলার। বর্তমানে মাথা পিছু আয়ের সঠিক পরিসংখ্যান না জানা গেলেও যদি ধরেও নেওয়া যায় সংখ্যা একই আছে, কিন্তু বাস্তবে তা কমে দুই হাজার ডলারের নিচে নেমে আসবে। আর ৩ তার সঙ্গে মূল্য স্ফীতি যোগ করলে এই অর্থের ক্রয় ক্ষমতা আরো মারাত্মকভাবে নিচে নেমে যাবে। অন্য সব আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থার কথা বাদ দিলেও আইএমএফ জানিয়েছে বাংলাদেশের দুর্বল অর্থনীতি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আশষ্কাজনক অবস্থায় আছে।
কোভিডকালীন বিশ্বে ১১টি দেশের জিডিপি ইতিবাচক ছিল, যার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল তৃতীয় (৪ শতাংশ) আর তা ইউনুস সরকারের হাতে পড়ে তিন শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। বর্তমানে সরকারি হিসেব অনুযায়ি খাদ্যমূল্য স্ফীতি ১২ শতাংশ। সরকার সরকারি কর্মচারিদের বেতন দিচ্ছে টাকা ছাপিয়ে এমন কথা স্বীকার করেছেন ইউনুস সরকারের একাধকি অর্থনীতিতে পণ্ডিত উপদেষ্টা।
কারণ সরকারের কোষাগারে বেতন দেওয়ার মতো অর্থের জোগান নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ১৫ বছরের শাসনামলে টাকা ছাপা হয়েছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা। ইউনুস সরকারের পাঁচ মাসে ছাপা হয়েছে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা। এমন বেপরোয়া টাকা ছাপালে মূল্যস্ফীতিও লাগামহীনভাবে বাড়তে বাধ্য তা অর্থনীতির সব চেয়ে দুর্বল ছাত্রও বুঝবে। বর্তমান সাধারণ মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশের উপর। তাতেই সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। কারন তাদের আয়ের উৎস সংকুচিত।
দেশের ১৬০টির বেশী তৈরি পোষাক কারখানা বন্ধ। তাতে কয়েক লাখ শ্রমিক বেকার। বেক্সিমকোর প্রায় সব কারখানা বন্ধ করেছে সরকার ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করার কারনে। এর ফলে ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে। প্রাণ গ্রুপ, গাজী গ্রুপের মতো একাধিক বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার পর পর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর ফলে বেকার হয়েছে লক্ষাধিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মজীবী ও শ্রমিক।
ইউনুস সরকার আওয়ামী লীগ সরকারের দেওয়া প্রায় এক কোটি বিভিন্ন ধরেণর বিনামূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ কার্ড ও মাসোহারা দেওয়ার কার্ড বাতিল করেছে। একজন বিধবা সরকার থেকে মাস শেষে যে ভাতা পেতো তা বন্ধ। এর ফলে তাকে রাতে খালি পেটে বা আধ পেটে ঘুমাতে যেতে হয়। কোন কোন সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে পেটের দায়ে বেশ কিছু কর্মহারা মহিলা শ্রমিক পেটের দায়ে পতিতাবৃত্তি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে । মাঝে মধ্যে রাস্তায় টিসিবির ট্রাক দেখা যায়। কিন্তু তার পিছনের লাইনটা এক কিলোমিটার লম্বা থাকে। বেপরোয়াভাবে ছাপানো মূদ্রা বাজারে এলে তা যে মূদ্রাস্ফীতিতে ঘি ঢালার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তা বোঝার জন্য অমর্ত্য সেন মাপের অর্থনীতিবিদ হওয়ার দরকার পড়ে না।
অর্থনীতির প্রাথমিক পর্যায়ের যেকোনো শিক্ষার্থী এ বিষয়টি বুঝতে সক্ষম যা বলেছি আগে। কিন্তু এটি বুঝতে অক্ষম ইউনুসের সবজান্তা প্রেস ৪ সচিব শফিকুল আলম, যিনি প্রায় ৩০ বছরের বেশি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এএফপির সঙ্গে কাজ করেছেন। যখন এই লাগামহীন মূদ্রা ছাপিয়ে বাজারে ছাড়া হয় তখন তার পরিণতি কী হয় তা জানতে চাইলে তিনি এই বিষয়ে একটি ‘চৌবাচ্চা’ তত্ত্ব উদ্ভাবনের কথা উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রথমবারের মতো উন্মোচন করেন।
এই সবজান্তা পন্ডিত সাংবাদিক বলেন দেশের বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভআগে যা ছিল তাই থাকবে ছাপানো টাকাটা সেই রিজার্ভেহাত না দিয়ে খরচ করা হবে। বলেন এটি একটি পানি ভর্তি চৌবাচ্চার মতো । যার বাড়তি পানি পাশের ছিদ্র দিয়ে বের হয়ে যায় । চৌবাচ্চার মূল পানি চৌবাচ্চায় থাকে । এমন উদ্ভট কথা যিনি বলতে পারেন তাকে সঙ্গী করে ক্ষমতা দখলকারি ইউনূস কতদূর যেতে পারবেন তা সহজেবই অনুমেয়। এই ভদ্রলোকের হয়তো জানা নেই গত পাঁচ মাসে দেশের মূদ্রামান কমেছে ১২.৭২ শতাংশ । এই খবর একাধিক আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার ।
এরই মধ্যে ইউনুসের অর্থ উপদেষ্টা ঘোষণা করেছেন ৪৩টি নিত্য প্রয়োজনিয় পন্য ও সেবার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসতে যাচ্ছে । তিনি আরো ঘোষণা করেন এর ফলে সাধারণ মানুষের উপর তেমন কোন চাপ সৃষ্টি করবে না । বাংলাদেশের এই সব মধ্য মেধার মানুষকে নিয়ে ড. ইউনুস উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করার জন্য তাকে বাহবা দিতে হয় বটে । কথায় কথায় সরকার ঘোষণা করে দেশে বৈদেশিক রিজার্ভ কত বিলিয়ন ডলার বাড়লো। কিন্তু যেটা বলে না, তা হলো, এই রিজার্ভের পিছনে কত বিলিয়ন ডলার খাদ্য ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বাবদ শুধু ভারতকে দিতে হবে।
ভারত থেকে নিয়মিত হাজার হাজার টন চাল আসছে। তৈরি পোষাক শিল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ কাঁচামাল ভারত থেকে আসে। ঔষধ শিল্পের ৩০ শতাংশ কাঁচামালের জোগান দেয় ভারত। এর সঙ্গে পেঁয়াজ, চিনি, আলু এমনকি কাঁচা মরিচও ভারত থেকে আসে। সিমেন্ট কারখানায় ব্যবহৃত চুনাপাথরের প্রায় পুরোটাই জোগান দেয় ভারত। সেদিন সরকার জানালো তারা ভারতের পরিবর্তে বাংলাদেশের নতুন জানি দোস্ত পাকিস্তান থেকে চিনি আমদানি করবে। এতে এই দেশের কিছু পাকিস্তানের ঔরষজাত সন্তান বগল বাজাতে শুরু করলো। তারা জানে না পাকিস্তান বছরে ২২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের চিনি ভারত থেকে আমদানি করে। পাকিস্তান ভারতীয় চিনি আমদানি করে তাতে মূল্য সংযোজন করে বেশি দামে বাংলাদেশে রপ্তানি করবে। এতেই এই দেশের কিছু মানুষ ঈদের আনন্দ অনুভব করছে।
ভারত থেকে পাকিস্তানে টমেটো না গেলে তার কেজি আড়াই থেকে হাজার টাকার কাছাকাছি হয়। যে ৫ দেশে এক কেজি আটা ময়দা নিয়ে রাস্তায় মানুষ দাঙ্গা হাঙ্গামা করে সেই দেশ বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রপ্তানি করা ছাড়া আর কি রপ্তানি করতে পারে? ভারত বা অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশ যেসব জিনিস আমদানি করে বা যেসব অবকাঠামোগত স্থাপনাগুলোর চলতি দেনাগুলো পরিশোধ করার তাগাদা আসবে তখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা কি ইউনূসের উপদেষ্টার চিন্তা করেছেন?
ভারতের আদানি থেকে যে বিদ্যুৎ বাংলাদেশ আমদানি করে তার বকেয়া পরিশোধ করতেই সরকার হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে। ত্রিপুরাও বকেয়া বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করার তাগাদা দিচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে তার দ্বিতীয় স্থানটি ভিয়েতনামের কাছে হারিয়েছে। একাধিক বিদেশি তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারী কারখানা বাংলাদেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে গেছে। নতুন কোনো স্থানীয় বা বৈদেশিক বিনিয়োগ নেই।
গোঁদের উপর বিষফোঁড়া আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকের আগামী জুন মাসের আগে কোনো অর্থ ছাড় করার সম্ভাবনা নেই। অর্থনীতির সব সূচকের গড় করে বিভিন্ন সংস্থা ও গবেষক আগাম বলে দিচ্ছে পরিস্থতি এমন চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশ একটি দূর্ভিক্ষ অবস্থার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়াবে। দেশটি দেওলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশে ২০২৬ সাল নাগাদ একটি উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতো। ২০২৪ সাল নাগাদ দেশটি বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার পথে ছিল । বর্তমানে দেশটি শান্তির ফেরিওয়ালার খপ্পরে পড়ে সুদান,মালাওই, বা লাইবেরিয়া হওয়ার দুঃস্বপ্ন দেখছে ।