‘আমাদের কাছে খবর আছে, কারা কারা খুনি শেখ হাসিনাকে মদদ দিতেন। তারা সতর্ক থাকবেন। আমাদের রাজনীতিবিদেরা আওয়ামী লীগের ব্যবসা দখল করতে চান। আমরা বলতে চাই, আমরা যতদিন রাজপথে আছি, এই তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে কেউ খেলতে আসবেন না’ বলে মন্তব্য করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
চুয়াডাঙ্গা কবরী রোডের মুক্তমঞ্চে ‘রাইজিং চুয়াডাঙ্গা’ শিরোনামের ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ তরুণ প্রজন্মের মূল্যবোধ এবং নৈতিক অবস্থান সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেন, ক্ষমতা ও সংসদের আসনের লোভ দেখিয়ে তরুণ প্রজন্মকে কেনা সম্ভব না। তিনি বলেন, এই তরুণ প্রজন্মকে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা কিনতে পারেনি।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বিগত তিনটি নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে পারে নাই। দিনের ভোট রাতে করার রুপকার হিসেবে খুনি শেখ হাসিনার নাম সবসময় লিপিবদ্ধ থাকবে। আমাদের গণতন্ত্রকে টুঁটি চেপে ধরে হত্যা করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার সব অপকর্মের বিচার আগে হতে হবে। তাদের দোসরদের বিচার করতে হবে। কোনো অন্যায়কারীকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বলা হচ্ছে, তরুণ তোমরা সফল হয়েছো, তোমরা এবার ঘরে ফিরে যাও। আমরা ক্ষমতা নেব। আমি জোর দিয়ে বলছি, তরুণ প্রজন্ম মাঠ ছেড়ে দেবে না। তারা দেশের উন্নয়নের স্বার্থে রাজপথে থাকবে।’
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রবীণ রাজনীতিকদের আমি বলতে চাই, তাদের অভিজ্ঞতা এবং তরুণদের সাহস একত্রিত করে চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশ গড়তে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক। বক্তৃতা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবিদ হাসান রিফাত, কুষ্টিয়ার সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক এস এম সুইট, গোলাম রব্বানি প্রমুখ।