বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি, চিহ্নিত জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের কারাগার থেকে মুক্ত, মৌলবাদের উত্থান, সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমাগত হামলা, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাজানো মামলায় গ্রেফতারে উদ্বেগ প্রকাশ করে অ্যামেরিকার ৫৩৫ জন কংগ্রেসম্যান ও সিনেটর নিকট চিঠি দিয়েছেন অ্যামেরিকায় অবস্থানরত বিশিষ্ট বাংলাদেশি-অ্যামেরিকান নাগরিক সমাজ।
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ডঃ নূরুন নবী ও সাধারণ সম্পাদক রানা হাসান মাহমুদের উদ্যোগে, অ্যামেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত বিশিষ্ট বাংলাদেশি-অ্যামেরিকানদের স্বাক্ষরিত এই চিঠিতে বাংলাদেশে চরম মানবদিকার লঙ্ঘন ও সন্ত্রাসবাদের উত্তানে অবৈধ তত্তাবদায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনুসকে দায়ী করার অনুরোধ জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, গত ৫ই আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে ধর্মীয় উগ্নাবাদি সংগঠনের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের একটি নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করেই মৌলবাদী দল জামায়েতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম ও হিজবুত তাহিরি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কে সাথে নিয়ে সারাদেশে সংখ্যালঘু, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর সন্ত্রাসী আক্রমণ করে এবং সারাদেশে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করে।
কংগ্রেসম্যান ও সিনেটরদের কাছে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ৫ই আগস্ট ২০২৪ সালের পর থেকে সারাদেশে ৭৫০ জন পুলিশকে হত্যা করা হয় এবং মোট ৬৩৯টি খানার ৪৫০টি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে অস্ত্র লুটপাট করা হয়।
সারাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দুদের উপর হামলা করা হয়, যা ডঃ ইউনুস অস্বীকার করেন। ৭১৫ আওয়ামী লীগ নেতার কর্মীদের হত্যা করা হয় ও অনেক নেতা কর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারক সহ পাঁচজন বিচারককে জোরপূর্বক অপসারণ করে অসাংবিধানিকভাবে নিজেদের পছন্দের লোকদের দায়িত্বে বসান ডঃ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অবৈধ সরকার।
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে যেন সন্ত্রাসবাদের খবর বহির্বিশ্বে না পৌছাতে পারে এবং অসংখ্য সংবাদ মাধ্যম কর্মী ও বিশিষ্ট মানবধিকার নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তালিবান ও আইসিসদের ন্যায় মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের আতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের নিবাসসহ সারাদেশে ১৫০০ এরও অধিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও ঐতিহাসিক নিদর্শন ধ্বংস করে।
চিঠিতে বলা হয়, আল কায়দার শাখা সংগঠন হিজবুত তাহিরি ও আন্সারুল্লাহ বাংলা টিমকে পাশে রেখেই ডঃ ইউনুস বাংলাদেশে সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আল কায়দা, তালিবান ও আইসিস সমর্থকদের প্রকাশ্যে আসার সুযোগ করে দিয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়া সহ অ্যামেরিকার জন্য সঙ্কটের কারণ হতে পারে।
তাই অ্যামেরিকার উচিৎ বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকার শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে ডঃ ইউনুস ও তার অবৈধ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা।