সৈয়দ ইফতেখার হোসেন, লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক
বাংলাদেশে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলকারি ড. ইউনূসকে কিছুদিন আগে অ্যামেরিকায় সফরকালে ভয়েস অব অ্যামেরিকার বাংলা অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আনিস আহমেদ প্রশ্ন করেছিলেন তাঁকে যাঁরা ক্ষমতায় এনেছেন, তাঁরা কোন বিবেচনায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবন, যেটাকে দেশের স্বাধীনতার সূতিকাগার বলে মানুষ জানে তা পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল? এই ভবনটি বঙ্গবন্ধু পরিবারের সম্পদ ছিল না। বঙ্গবন্ধু পরিবার এই বাড়িটি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ট্রাস্টে দান করে দিয়েছিলেন।
পরবর্তীকালে ভবনটি একটি তথ্যবহুল চমৎকার জাদুঘরে পরিণত হয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোনো সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশ সফরে এলে তাদের বেশিরভাগই এই ভবনে গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতেন। ইউনূস এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে সঞ্চালককে জানালেন ৫ আগস্ট ‘বিপ্লবের’ সময় ‘রিসেট’ বাটনে চাপ দিয়ে অতীতের সব কিছু ডিলিট করে ফেলা হয়েছে, বাংলাদেশের ইতিহাস এর পর থেকে শুরু। বিষয়টা দাঁড়ালো এই রকম পিতা মারা যাওয়ার পর মা অন্যত্রে বিয়ে করলো আর তার আগের ঘরের সন্তানরা তাদের জন্মদাতা পিতাকে বাবা না ডেকে মায়ের দ্বিতীয় স্বামীকে বাবা ডাকা শুরু করলো।
এর আগে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের স্টেজে হঠাৎ করে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরিরের সক্রিয় সদস্য মাহফুজ আলম (আসল নাম মাহফুজ আবদুল্লাহ) নামের এক যুবককে ডেকে উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের সামনে প্রথমবারের মতো পরিচয় করিয়ে দিয়ে জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য এই যুবকই দীর্ঘদিন ধরে (২০১৯ থেকে) সব কিছু সুচারুভাবে (মেটিকুলাসলি) পরিকল্পনা করেছিলো। শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হঠাৎ কোনো ঘটনা ছিল না।
ইউনূস একটি আন্তির্জাতিকভাবে খ্যাতিমান মিডিয়ার সামনে নিজেই স্বীকার করে নিলেন কিভাবে তিনি অ্যামেরিকার বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অকাতরে অর্থ বিলিয়ে এই হিযবুত তাহরিরের সহায়তায় একটি স্বাধীন দেশের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। তাঁর এই ষড়যন্ত্রের পিছনে কাজ করেছিল তিনি যে বাংলাদেশ সরকারের হাজার ২ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছিলেন তা থেকে নিস্তার পেয়ে জেলের সাজা ভোগ করা থেকে বেঁচে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তিনি এই দফায় সফল হয়েছেন তবে তাঁর শেষরক্ষা হওয়া নিয়ে দেশের মানুষের যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পিছনে ইউনুসকে সার্বিক সহযোগিতা যুগিয়েছে মার্কিন অ্যামেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের সরাসরি ত্বত্তাবধানে কিছু প্রতিষ্ঠান ও তাদের এদেশিয় কিছু সংগঠন। এই বিষয়টা শেখ হাসিনা সংসদে উল্লেখ করলেও তিনি যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন বলে মনে হয় না। অ্যামেরিকা সফর শেষে ইউনূসের এখন একমাত্র দৃষ্টি হচ্ছে কিভাবে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে আবার একাত্তর পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে আক্ষরিক অর্থে একটি মিনি পাকিস্তান বানিয়ে ফেলা যায়। তার জন্য তিনি হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন চরম ভারত বিরোধিতা ও ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষ ও দেশকে বিপর্যন্ত করা।
ইউনূস বাংলাদেশকে ধ্বংস করছেন আর তাঁকে ক্ষমতায় বসাতে যে জঙ্গীরা তাকে সহায়তা করেছে যারা নিজেদের জেন-জি হিসেবে পরিচয় দেয় তারা বাংলাদেশের পূরো শিক্ষা ব্যব্যন্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তৈরি হয়েছে একটি চরম বাচাল ও বেয়াদেব প্রজন্ম যাদের ভবিষৎ পুরোটাই অন্ধকার। বাংলাদেশে যে কটি দিন অত্যন্ত আনন্দমূখর পরিবেশে পালিত হয় তার মধ্যে অন্যতম ১৬ ডিসেম্বর, আমাদের বিজয় দিকস। এই দিনে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের দখলদার বাহিনী বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত মিত্র বাহিনীর কাছে রমনা রেসকোর্সে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দি উদ্যান) বিকাল পাঁচটায় আত্মসমর্পন করেছিল।
পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পনের দলিলে স্বাক্ষর করেছিলেন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি আর মিত্র বাহিনীর পক্ষে ভারতের ইষ্টার্ণ কমান্ডের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা। অনেকে না বুঝে প্রশ্ন করেন এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধান সেনাপতি ওসমানী কেন উপস্থিত ছিলেন না। তাঁরা বুঝতে পারেন না এই দলিল স্বাক্ষর করছেন ভারত ও পাকিস্তানের দুজন আঞ্চলিক কমান্ডার, দুই দেশের সেনাপ্রধান নয়। ওসমানী বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। এখানে যে একটা প্রটোকলের বিষয় আছে তা তাঁরা ভুলে যান।
যদি ওসমানি উপস্থিত থাকতেন তবে তা নিশ্চয় ভালো হতো তবে তিনি তাতে তিনি শুধু একজন দর্শক হয়ে থাকতেন যা মোটেও সঠিক হতো না । ৩ প্রতিবছর এই দিনটিকে ঘিরে যেসব অনুষ্ঠান হয় তার কিছুই এবার ছিল না ইউনূসের রিসেট বোতাম টেপার কারণে। সরকারিভাবে আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছিল এবার দিনটি উপলেক্ষ্য কোনো আলোচনা অনুষ্ঠান হবে না। বিভিন্ন জেলায় বিজয় মেলার নামে বেলুন আর ফুচকা বিক্রি করা যাবে। বিজয় মেলার জন্মস্থান চট্টগ্রামে। সেই চট্টগ্রামে এমন একটি মেলা হয়েছে।
একটি আলোচনা সভা হওয়ার কথা ছিল যা শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়েছে সমন্বয়কারি নামক কিশোর গ্যাংয়ের নির্দেশে। দেশটা এখন তাদের দখলে। ইউনুস বলি আর তাঁর সভা পারিষদ বলি তারা কেউ এই কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে পারেন না। প্রতিবছর এই দিনে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সদর দপ্তর কোলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৬ ডিসেম্বরকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে যেখানে বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল যোগ দেয়। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভারত থেকেও এমন একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা আসতো।
এই প্রতিনিধি দলে সাধারণত থাকেন ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও তাতে অংশ নিতেন। এই বছরও ভারতের দিক থেকে তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলাদেশের সেনা সদর দপ্তরের বাছাই করা ৯ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা, যাঁরা একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা তাঁরা তাঁদের পরিবার নিয়ে কোলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তালিকাটি অনুমোদন করেছে বাংলাদেশের সেনা সদর দপ্তর ।
এই সংবাদটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে তেমন একটি প্রচারিত হয়নি। প্রচারিত হয়েছে এই দিনটি উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া একটি টুইট (এক্স হেন্ডল) বার্তা, যেখানে তিনি ১৯৭১ এ বিজয় লাভ করার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই টুইট বার্তা প্রচারিত হওয়ার পর এই দেশের কিছু জ্ঞানপাপী আর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য চিৎকার শুরু করে দিল মোদি এই টুইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেছেন। তিনি এই যুদ্ধকে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে দেখেছেন। সরকার নাকি এখন এই বিষয়টা ভারতের সঙ্গে সরকারিভাবে উত্থাপন করবে।
১৯৭১ সালের যুদ্ধটা একান্তভাবে বাঙালির। এতে শুরু থেকেই ভারত নানাভাবে সর্বাত্মক সহায়তা করেছে। এক কোটিরও বেশি মানুষকে তাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনী বা তাদের এই দেশীয় দোসর, জামায়াত, রাজাকার আলবদরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করেনি। তারা তখনই সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয় ৪ যখন ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান বিমান বাহিনী তাদের পশ্চিমাঞ্চলের বিমান ঘাঁটিতে হামলা করে। ঠিক তখনই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যোগ হয় ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ।
অনেকেই হয়তো ভুলে যান যে এই যুদ্ধে শুধু ভারতের পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশে হয়নি পশ্চিম অঞ্চলেও হয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারত যদি একতরফা ভাবে পশ্চিম অঞ্চলে যুদ্ধ বিরতি না করতো তাহলে পাকিস্তানের সেই অংশও তাদের হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ভারত আমাদের যুদ্ধকে তাদের যুদ্ধ করে নিয়েছিল এবং আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের প্রায় ছয় হাজারের বেশি সৈনিক প্রাণ দিয়েছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর মোদি যে তাঁদের সৈনিকদের ওই সময়ের বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা দিয়েছেন তাতো ঠিকই আছে। প্রতি বছর তাই হয় ।
যে যুদ্ধ তাদের ছিল না সেই যুদ্ধে বাঙালির স্বার্থে তাদের করে নিয়ে তাদের দেশের সৈনিকরা রক্ত ঝরিয়েছে তার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও কিছু মানুষের গাত্রদাহের একমাত্র কারন তারা তো একাত্তরকে স্বীকারই করে না। তারা বলে একাত্তর ছিল ভারতের পাকিস্তান ভাঙার নীলনকশার বাস্তবায়ন। তাইতো ইউনুসের ‘মেটিকুলাসলি’ পরিকল্পনাকারিদের একজন হাসনাত আবদুল্লাহ হলভর্তি তাঁর অনুসারীদের জানিয়ে দিলেন মোদির এই টুইট প্রমাণ করে একাত্তরের যুদ্ধ পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করার জন্য বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য নয়। সে কারণে ওই সময় যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে (জামায়াত ও তাদের দোসররা) তারা ঠিক কাজটিই করেছিল ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে ২০২৪ এ তাদের হাত ধরে! এবার আসি এই দিনে দেওয়া ড. ইউনুসের ভাষণ প্রসঙ্গে। তিনি এদিন একটি ভাষণ দিয়ে উল্লেখ করেছেন লাখ লাখ বাঙালি একাত্তরে প্রাণ দিয়েছেন। ৩০ লাখ থেকে লাখ লাখ। কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন তাও উল্লেখ করতে তিনি লজ্জাবোধ করেছেন। এই যুদ্ধে ভারতীয় মিত্র বহিনীর কী ভূমিকা ছিল তা তিনি বলতে চাননি। এই দিনে সরকারিভাবে যে পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে সেই পোস্টারে জেন-জির হিরো আবু সাঈদ প্রাধান্য পেয়েছে। বাঙালির প্রণের মুক্তিযুদ্ধ নয়।
বাঙালির প্রাণের শ্লোগান ও একাত্তরের রণ হুঙ্কার ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়া অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে। ইউনুসের বক্তব্যে এই যুদ্ধের যিনি মহানায়ক সেই বঙ্গবন্ধু অনুপস্থিত ছিলেন। চাঁপাই নবাবগঞ্জের নাচোলে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়ার অপরাধে দুই তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়ছে। সাধারণত যেকোনো জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য জাতীয় স্মৃতি স্মারক গুলোতে প্রধানমন্ত্রী কয়েক মিনিট আগে গিয়ে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। এবার তেমনটি ঘটেনি। রাষ্ট্রপতি ভোর ছয়টায় গিয়ে জাতীয় ৫ স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা।
প্রধান উপদেষ্টার পদধারী ইউনুস তার দেড় ঘন্টা পরে গিয়েছেন। তাঁর কোনো ছবি কোনো গণমাধ্যমে তেমন একটা প্রকাশিত হয়নি। ১৪ ডিসেম্বর তিনি মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে জুতা পায়ে উঠে গিয়ে শহীদদের অপমান করেছেন। ইউনুসের রিসেট বাটন টেপার কারণে বাংলা নামক দেশটি অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। দেশটির যে একটি গৌরবজনক অতীত ছিল তা এখন দ্রুত বিলিন হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে আর কিছুদিন পর এই দেশটি হয়ে যেতে পারে ইউনুসের প্রিয় পাকিস্তানের মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র।
ভাগ্য ভালো থাকলে তিনি হয়তো তার আগেই বিদেশে পাড়ি দেবেন। তাঁর সভা পারিষদের কী হবে তা কেউ বলতে পারে না। তবে এটা ঠিক যে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীন দেশের মানুষ যেসব স্বপ্ন দেখতো তাদের সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে, তাদের বেশিরভাগ মানুষই ভিক্ষার থালা নিয়ে হয়তো দ্বারে দ্বারে ঘুরবে। তথাকথিত শান্তির দূতের রিসেট বাটনের ফলে দেশে যা ঘটছে তার জন্য দেশের সাধারণ জনগণ চরম ভাবে উদ্বিগ্ন।