উইসকনসিনের একটি স্কুলে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী গুলি চালিয়ে তার সহপাঠী ও শিক্ষককে হত্যা করেছে। এরপর সে নিজে আত্মহত্যা করেছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও অন্তত ছয়জন। পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানায়।

পুলিশ জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার উইসকনসিনের অ্যাবান্ডেন্ট লাইফ ক্রিশ্চিয়ান স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে। স্কুলটিতে কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে এই স্কুলে।

ম্যাডিসন পুলিশ প্রধান শন বার্নস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গুলিতে আহত দুই শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া একজন শিক্ষক এবং আরও তিনজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আশা করা হচ্ছে তারা বেঁচে যাবেন।

এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে কোনো মেয়ের হামলা চালানোর ঘটনা বিরল। গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যামেরিকায় সংঘটিত সমস্ত হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৩ শতাংশ নারীদের মাধ্যমে ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, কীভাবে কিশোরী মেয়েটি গুলির ঘটনা ঘটালো, তা তদন্ত করা হচ্ছে। মেয়েটির পরিবার পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করছে।

শন বার্নস বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী প্রথমে ৯১১ নম্বরে ফোন করে স্কুলে গুলির ঘটনাটি জানায়। এরপর দ্রুত পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনজনকে মৃত অবস্থায় পায়। নিহতদের মধ্যে হামলাকারীও রয়েছে। সে ওই স্কুলেরই শিক্ষার্থী।

কে-১২ স্কুল শুটিং ডেটাবেজ ওয়েবসাইটের তথ্যমতে,  চলতি বছর স্কুলে ৩২২টি গুলির ঘটনা ঘটেছে। ১৯৬৬ সালের পর দেশটির স্কুলে এটাই গুলির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘটনা। ওই বছরের পর অ্যামেরিকার স্কুলে সর্বোচ্চ ৩৪৯ গুলির ঘটনা ঘটেছিল গত বছর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here