এনসিটিবির সামনে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
এনসিটিবির সামনে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি রাখা ও না রাখার দাবিতে পৃথক কর্মসূচির মাঝেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে গুরুতর আহতদের অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ ৫ দফা দাবিতে ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ নামের একটি সংগঠন আজ সকালে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

একইদিনে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একটি দল পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যায়। পরে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন– সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য), ইসাবা (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী), রেংইয়াং, ধনযেত্রা, শৈলী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী), দনওয়াই ম্রো (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী), তনিচিরাং ও ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক জুয়েল মার (৩৫)।

এর আগে, স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেয় এনসিটিবি। গত রোববার (১২ জানুয়ারি) এনসিটিবি ঘেরাও করার পর রাতে ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়।

এরপর পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে নিন্দা ও ক্ষোভ জানায় বেশ কিছু পাহাড়ি সংগঠন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here