আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর এবার আরেকটি বড় মামলায় খালাস পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এটি ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা। ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার একটিতে বাবরকে ফাঁসির রায় দিয়েছিল বিচারিক আদালত, অন্যটিতে দেওয়া হয়েছিল যাবজ্জীবন সাজা। উচ্চ আদালতে এসব রায় টিকল না।

এই রায়ে বাবরসহ ছয়জনকে দেওয়া হয়েছে খালাস। অপর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পরেশ বড়ুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেন।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন।

এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, বাবর, ভারতের উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। আপিলে বাবরসহ ছয়জন খালাস পেলেন।

এর আগে সম্প্রতি ২১ শে আগস্ট মামলা থেকে খালাস পান বাবর। আলোচিত দুটি মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এখন কারামুক্তির আরও কাছে চলে এসেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাবরের বিরুদ্ধে আরও দুই-তিনটি মামলা রয়েছে। তবে মামলাগুলো তার মুক্তির ক্ষেত্রে খুব বড় বাধা হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।

বড় দুটি মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বাবরের পরিবার, আত্মীয়-স্বজনরা ও অনুসারীরা। বাবরের জন্ম জেলা নেত্রকোনায় আনন্দের বন্যা বইছে। প্রিয় নেতাকে বরণ করতে মুখিয়ে আছেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here