জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের

সরকারের সহায়তায় কয়েকটি রাজনৈতিক দল রাজনীতির মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘তারা (কয়েকটি রাজনৈতিক দল) সরকারের সাথে সম্পর্ক রেখে সরকারি দলের মত আচরণ করছে। তারা ক্ষমতার মোহে দেশকে বিভক্ত করছে। বিভিন্ন অজুহাতে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করতে চাচ্ছে।’ 

জিএম কাদের বলেন, ‘অপরদিকে দেশে অরাজক পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও বেকারত্বের বিস্তার ব্যাপক। একারণেই, দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। জাতীয় পার্টিও মাঠে থাকবে, আমরা দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের রাজনীতিতে কখনোই পিছপা হব না। শত নির্যাতনেও আমরা মানুষের অধিকারের প্রশ্নে চুপ থাকবো না। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মানুষের জান-মালের ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের কাছে কোনো সেবা পাচ্ছে না মানুষ। আমরা মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে রাজপথেই থাকবো।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ নয়। এই সরকার সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবে বলেও সন্দেহ আছে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারই দেশের বর্তমান অচলাবস্থা ও অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি দিতে পারে।’  

জিএম কাদের বলেন, ‘অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কেউ জানেনা কেমন হবে দেশের ভবিষ্যত। এমন বাস্তবতায় আমাদের রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। একটি নির্বাচন হবে, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু জাতীয় পার্টির সাথে বর্তমান সরকার বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের স্বাভাবিক রাজনীতিতে বাঁধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বর্তমান সরকার সবার জন্য লেভেল প্লেইংফিল্ড করতে পারবে? নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হবে?’

তিনি বলেন, ‘অনেক আগেই আমরা সংবিধান সংস্কারের দাবি তুলেছি। সংস্কার হতে হবে একটি নির্বাচিত পার্লামেন্টে। নির্বাচিত পার্লামেন্ট ছাড়া কোন সংস্কারই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। যদি সকল রাজনৈতিক দলের সম্মতিতে সংস্কার হয় তা নির্বাচিত পার্লামেন্টে গ্রহণযোগ্য করা যায়। বর্তমানে দেশকে বিভক্ত করে যে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে তা একপেশে ও বাস্তবতার ততটা সংগতিপূর্ণ নয়। একারণে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আমরা আগ্রহি নই। নির্বাচিত পার্লামেন্টে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here