ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত হানুনে একটি স্কুলে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুই শিশুসহ একই পরিবারের চারজন রয়েছেন।
এই স্কুলটি বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আজ রোববার ভোরে এই হামলায় বহু লোক আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।
স্কুলটিতে তাঁদের আশ্রয় নেওয়া কক্ষে সরাসরি ট্যাংকের গোলা আঘাত হানে। এ ছাড়া গাজা নগরীতে বাসাবাড়িতে পৃথক তিনটি হামলায় আরও ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে স্কুলটি ঘিরে ফেলে এবং ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে। এতে স্কুলে আশ্রয় নেওয়া এক পরিবারের দুই শিশুসহ চার সদস্য নিহত হন।
আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ জানান, আহতরা স্কুলের মাঠ ও অন্যান্য শ্রেণিকক্ষে আটকে আছেন। তারা কেউ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না, কারণ বেইত হানুনের হাসপাতালগুলো অচল। কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। বেইত হানুনের একটি তাঁবুতে হামলায় বহু মানুষ নিহত ও আহত হন। এ ছাড়া গাজার দক্ষিণাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলায় আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
এ নিয়ে গাজায় ১৪ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় ৪৪ হাজার ৯৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৭৫৯ জন।
এ ছাড়া জিম্মিদের মুক্ত করে আনতে দ্রুত চুক্তির দাবিতে গত শনিবার ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় অ্যামেরিকা, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমঝোতা হয়নি।