প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মগত নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ বাতিল করে দেয়া নির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত ২২টি স্টেইটে ও ২টি শহর। এছাড়া বিভিন্ন নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলোও এ বিষয়ে একাধিক মামলা দায়ের করেছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের পর ট্রাম্প সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেন অ্যামেরিকায় জন্মগ্রহণকারী যেসব শিশুর মা অথবা বাবা কেউই নাগরিক বা আইনত স্থায়ী বাসিন্দা নন, তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করতে।
কলম্বিয়া জেলা এবং সান ফ্রান্সিসকো শহরসহ ২২টি ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন স্টেইট বোস্টন এবং সিয়াটলের ফেডারেল আদালতে মামলা দায়ের করে। ট্রাম্প সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন এমন দাবি তুলে এই পদক্ষেপ নেয় তারা।
এছাড়া ট্রাম্প নির্বাহী আদেশটিতে স্বাক্ষর করার কয়েক ঘণ্টা পরেই, অ্যামেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন, অভিবাসী সংস্থা এবং একজন গর্ভবতী মা মামলা দায়ের করেন।
এর আগে সোমবার অ্যামেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব নেয়ার পরই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দেন। অবৈধ অভিবাসীদের ‘অপরাধী’ হিসেবে বর্ণনা করে তাদের অ্যামেরিকা থেকে বের করে দেয়া হবে বলে জানান।
ম্যাসাচুসেটস অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রেয়া জয় ক্যাম্পবেলের অফিস জানিয়েছে, ট্রাম্পের এই আদেশ বহাল থাকলে প্রথমবারের মতো অ্যামেরিকায় প্রতি বছর জন্ম নেয়া ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি শিশু নাগরিকত্বের অধিকার বঞ্চিত হবে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা নেই।’ মামলা করা স্টেইটগুলো বলছে, নাগরিকত্ব হারানোর ফলে সেই ব্যক্তিরা মেডিকেল স্বাস্থ্য বীমার মতো সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।
নিউ জার্সির অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ প্লাটকিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজকের এই মামলাগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠায় যে আমরা আমাদের বাসিন্দাদের এবং তাদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকারের পক্ষে দাঁড়াবো।’ এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ কোনো মন্তব্য করেনি।