বিএনপির কিছু নেতা-কর্মীর কাজকর্ম সাধারণ মানুষ পছন্দ করছে না জানিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জান-প্রাণ দিয়ে জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে। জনগণ যেভাবে বলবে সেভাবেই পরিচালিত হতে হবে।
রংপুর নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে শুরু হয় এই কর্মশালা। ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে বিএনপি আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নে রংপুর ও বরিশালে বিএনপির কর্মশালায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশকে গড়তে হলে দল মত নির্বিশেষে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সবাইকে মিলে সরকার গঠন করলে সবাই সবার অধিকারের কথা বলতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতি মানুষের যে আস্থা আছে তা ধরে রাখতে হবে, এটি ধরে রাখতে সবাইকে চেষ্টা করতে হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে সবচেয়ে বড় পুঁজি হলো জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসা। যারা ১৫-১৬ বছর জোর করে ক্ষমতায় টিকে ছিল, তারা এখন নেই, তার কারণ হলো জনগণের আস্থা বিশ্বাস ভালবাসা হারানো।’
তারেক রহমান বলেন, ‘দেশকে কীভাবে পুনর্গঠন করতে চায় বিএনপি তারই সংস্কার হিসেবে ৩১ দফা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। সংস্কার প্রস্তাব শুধু দলীয় কর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, প্রতিটি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ৩১ দফায় কারও আপত্তি বা কোনো প্রস্তাবনা থাকলে সংস্কার কিংবা সংযোজন করা হবে।’
জনগণ যেভাবে বলবে সেভাবেই পরিচালিত হতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপির ওপর জনগণের আস্থা ধরে রাখতে হবে দলের কর্মীদের। জনগণের সমর্থনকে যেকোনোভাবে অর্থাৎ ইতিবাচকভাবে বিএনপির পক্ষে রাখতে হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘হাতের পাঁচ আঙুল সমান নয়, মানুষও এক রকম হয় না। ৫ আগস্টের পর গত চার মাসে দলের কিছু নেতা-কর্মী বিভ্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে তাদের অনেকের কাজকর্ম সাধারণ মানুষ পছন্দ করছে না।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষের সমর্থন, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করা। যদি লক্ষ্য অন্য কিছু হয়ে থাকে, তবে দু-দিন পরে ছিটকে পড়ে যাবেন। জনগণের সমর্থন থেকে ছিটকে পড়বেন। তাদের আস্থা থেকে দূরে সরে যাবেন। তাই সবাইকে জনগণের আস্থা ও সম্মান এবং সমর্থন ধরে রাখতে কাজ করতে হবে। জান-প্রাণ দিয়ে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা ধরে রাখতে হবে।’
এতে সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর জেলা, মহানগর ও বিভাগীয় নেতা-কর্মীরা। এতে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ডক্টর মওদুদ হোসেন আলমগীর। রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় তিনি ৩১ দফা দাবি নেতা-কর্মীদের মাঝে বিস্তারিত তুলে ধরেন।