চীনের তিব্বত অঞ্চলে ৬.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে অন্তত ৯৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও অন্তত ১৩০ জন আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পে বহু ভবন ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য প্রায় ১৫০০ উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এই তথ্য চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে চীনের তিব্বতের প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটি জিগাজে শহরের ডিংরি কাউন্টি এলাকায় সংঘটিত হয় এবং এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ মাত্রা। ভূমিকম্পের আঘাতে ধসে পড়ে বহু ঘরবাড়ি, ধ্বংস হয়েছে অনেক অবকাঠামো।

ভূমিকম্পের পরপরই ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের জন্য তৎপরতা শুরু হয়। আটকে পড়াদের খুঁজে বের করতে এবং উদ্ধারকাজ পরিচালনায় প্রায় ১,৫০০ অগ্নিনির্বাপক ও উদ্ধারকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে অত্যাধুনিক সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষিত কুকুরও রয়েছে, যা ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিতদের শনাক্ত করতে সহায়তা করছে।

ভূমিকম্পের পর তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি অঞ্চলে একাধিকবার পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে, যা উদ্ধার কার্যক্রমকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
পরাঘাতের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪; যা এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।। তিব্বত অঞ্চলের সবচেয়ে উঁচু এই কাউন্টিতে প্রায় ৬২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। এটি মাউন্ট এভারেস্টের চীনা অংশে অবস্থিত।

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে স্থানীয় প্রশাসন থেকে ডিংরি কাউন্টির শহরতলিগুলোতে প্রতিনিধিদের পাঠানো হয়েছে। এদিকে শুধু তিব্বতেই নয়, বরং প্রতিবেশী নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং ভারতের কিছু অংশ এবং বাংলাদেশও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

তিব্বতীয় ও ভারতীয় টেকটনিক প্লেটের ভাঁজে নেপালের অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল পোখারা ও কাঠমান্ডুর মধ্যে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ৮ হাজার ৯৬৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। আহত হয়েছিলেন ২২ হাজার মানুষ।


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here