পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার এক মামলায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাজা হওয়ার বিষয়টি এখন নিশ্চিত। তবে তাঁকে কারাদণ্ড বা অন্য সাজা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই ।
যৌন সম্পর্কের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়াসংক্রান্ত ফৌজদারি মামলাটিতে নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলছে।
বিচারক হুয়ান মারচ্যানের ওই বক্তব্যের অর্থ হলো, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র ১০ দিন আগে ট্রাম্পকে আদালতে হাজির হতে হবে।
বিচারক তাঁর আদেশে বলেন, ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেওয়ার ইচ্ছা নেই। তাঁকে ‘শর্তহীন মুক্তির’ দণ্ডাদেশ দেওয়া হবে ’এমন রায়ে ট্রাম্প আপিল করার সুযোগ পাবেন। বিচারক বলেন, আপিলের বিষয়ে ট্রাম্প তাঁর অভিপ্রায় স্পষ্ট করেছেন।
এদিকে এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং বলেন, ‘এ মামলায় ট্রাম্পের কোনো কারাদণ্ড হওয়া উচিত নয়। বেআইনি এ মামলা কখনো বিবেচনা করারই উপযুক্ত নয়।’
ট্রাম্পের বিবাদীপক্ষের কৌঁসুলিরা বলছেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের মেয়াদে মামলাটি জিইয়ে রাখা হলে তা তাঁর শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করবে।
মামলায় স্টর্মি ড্যানিয়েলস অভিযোগ করেছেন, ২০০৬ সালে নেভাডা স্টেইটে একটি হোটেলে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক হয়। সে ঘটনা যাতে তিনি কাউকে না বলেন, এ জন্য ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এর ১০ বছর পর ২০১৬ সালে তাঁকে ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেন ট্রাম্প। ঘুষ দেওয়ার সেই তথ্য তিনি তাঁর ব্যবসায়িক নথিতেও গোপন করেন।
ট্রাম্প স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ও ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, এ সবকিছু রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত।