অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘বাংলাদেশে সেনা শাসন আসার কোনো প্রেক্ষিত নেই। আমরা এবার কোনো রাষ্ট্রের মদদে হাসিনাকে উৎখাত করিনি। আমরা ছাত্র-জনতার রক্ত দিয়ে হাসিনাকে উৎখাত করেছি। আমাদের কারও তাবেদারী করার আর দরকার নেই। হাসিনার তাবেদারী করার যে প্রক্রিয়া সেটিকে নস্যাৎ করে দিয়ে নিজেদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছি। আমরা কারও কাছে আর মাথা নত করব না।’
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা মাহফুজ।
এ সময় এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ৩ আগস্টেই বলেছিলাম, ওয়ান ইলেভেন চাই না। ওয়ান ইলেভেন নিয়ে মিছে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব, সরকারকে সহযোগিতা করে এই সংস্কারগুলো করার জন্য আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তি আছি, তারা ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কার কার্যক্রম শেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করব।’
মাহফুজ আলম আরও বলেন, ‘অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছেন। খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যমতের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সে সকল সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার কারণে আমাদের মা বোনেরা গুম-খুন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, বাচ্চারা গুমের শিকার হয়েছে, বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন, আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, জেল খেটেছেন। যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না।’
মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালরা আছে, তাদেরকে উৎখাত করে এবং খুনীদের বিচার করে নির্বাচনের দিকে এগুতে হবে।
সংবর্ধনা শেষে উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে উপজেলা হলরুমে সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন উপদেষ্টা।