আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা সুবিধা নেওয়া দেশের আলোচিত শিল্প প্রতিষ্ঠান এস.আলমের ছয়টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কারখানার নোটিশ বোর্ডে অনিবার্যকারণ দেখিয়ে এসব কারখানা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। এসব কারখানায় পাঁচ হাজারেরও অধিক শ্রমিক রয়েছে।

যেসব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলো হলো- চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর কালারপুল এলাকায় অবস্থিত এস আলম কোল্ড রোল্ড ষ্টীলস লিমিটেড, এস.আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড, এস. আলম পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, মইজ্জারটেক এলাকার ইনফিনিটি সি আর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, চরপাথরঘাটা এলাকার এস আলম রিফাইন্ড সুগার লিমিটেড ও বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকার এস. আলম পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেড।

অনিবার্যকারণবশতঃ কারখানাগুলো ২৫ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, দেশের পরিস্থিতি ও মালিকপক্ষের নানা সমস্যার কারণে ৫ আগষ্টের পর থেকে দেশের বৃহত্তম শিল্প গ্রুপ এস আলমে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়।

বন্ধের বিষয়ে এস. আলম রিফাইন্ড সুগার লিমিটেডের ডিজিএম ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম জানান- বন্ধের বিষয়টি কোম্পানীর সিদ্ধান্ত, আমার হাতেও একটি নোটিশ এসেছে, আমার কিছু কারার নেই।
এদিকে, নোটিশ পাওয়ার পর কারখানার পাঁচ হাজারের অধিক শ্রমিক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ জানান তারা।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। টাকা পাচারসহ যুক্তরাজ্যে একাধিক অট্টালিকা কেনাসহ নানা দেশে তাদের বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে। পাচার হওয়া এসব অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে সরকারপ্রধানের ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় ব্যাংক খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। এর মধ্যে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম একাই এক হাজার কোটি ডলার দেশের বাইরে পাচার করে নিয়ে গেছেন। এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্যাংক ডাকাতির এটাই সবচেয়ে বড় ঘটনা। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এস আলম গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি পাচার করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here