আওয়ামী লীগ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত উল্লেখ করে ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেছেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ফলে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই বাংলাদেশে ভারতের আগ্রাসন থাকবে না। রাজধানীতে আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দলটির নেতারা।
নয়াপল্টনে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা দখল করেনি, তারা সবার ঐক্যমতের সরকার। তাদের সহযোগিতা করতে চায় বিএনপি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা এ সরকারের দায়িত্ব। আর এ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন।
এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) ভারত সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জীবন দিতে রাজি কিন্তু দেশকে তাদের সামনে পদানত হতে দিবে না। তারা প্রত্যেকটি প্রতিবেশি রাষ্ট্রকে বিষিয়ে তুলেছে। প্রতিবেশি রাষ্ট্রকে দাবিয়ে রাখতে চায় তারা।
বাংলাদেশের মতো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পৃথিবীর কোথাও নাই এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ভারত যুদ্ধ শুরু করলে ভারতে গিয়েই শেষ হবে। দেশের ছাত্রসহ সকলকে সামরিক ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করা হবে। ভারত কেন, এর থেকে বড় শক্তি এলেও বাংলাদেশকে পদানত করতে পারবে না।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ফলে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, ভারতের আগ্রাসন নতুন বাংলাদেশে থাকবে না বলেও জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, ভারত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর ভর করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে। তাদের ষড়যন্ত্রে এখন আর কোনো লাভ হবে না। তারা বাংলাদেশকে সেভেন সিস্টারের এইট সিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছে। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত ষড়যন্ত্রে সহযোগিতা করছে। তারা শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচন চাই, কারও (ভারতের) হস্তক্ষেপ ছাড়া। আওয়ামী লীগ আসবে কী আসবে না, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচনের তারিখ অবিলম্বে ঘোষণা করুন। জনপ্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আমার ভোট আমি দিব, দিনের ভোট দিনে হবে। জনপ্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে হবে।
ফ্যাসিবাদের দোসরদের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস একজন একজন করে ধরে আনবেন এবং সাজাও দেবেন বলেও জানান তিনি।