নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর পর এবার সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, গত ৬ অক্টোবর জারি করা প্রজ্ঞাপনের দ্বারা গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
গত বছরের ৬ অক্টোবর অধ্যাপক আলী রীয়াজকে প্রধান করে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে সদস্য সংখ্যা ৯ জন। কমিশনের বাকি সদস্যরা হলেন, অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, বার-এট-ল ইমরান সিদ্দিকী, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইকরামুল হক, অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভুঁইয়া, বার-এট-ল এম মঈন আলম ফিরোজী, লেখক ফিরোজ আহমেদ, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. মাহফুজ আলম। সে অনুযায়ী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এই কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করার ঘোষণা দেয়। গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দেন। সেগুলো হচ্ছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন। এসব কমিশনের প্রধানদের নামও ঘোষণা করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। এর মধ্যে গত ৩ অক্টোবর পাঁচটি কমিশন এবং পরে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
সবগুলো কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসেবে সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়া সবগুলো কমিশনের মেয়াদ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ৪ জানুয়ারি। এ ছয় কমিশন ওয়েবসাইট খুলে মতামত সংগ্রহ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ ও লিখিতভাবে মতামত সংগ্রহ করেছে। সুপারিশমালা প্রস্তুতে এসব প্রস্তাব ও মতামত পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। সবগুলো কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল।