বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বহুদিন আগে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি শেখ হাসিনাকে বলেছেন ‘রং হেডেড’, রং হেডেড পারসন ছাড়া কেউ এখন নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করতে পারে না।
ইংল্যান্ডের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বিলেতের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তার দলের লোকেরা কোন অবস্থায় আছেন, না আছেন, কিছু না ভেবে তিনি পালিয়ে গেলেন। আর আমাদের নেত্রীকে বহুবার দেশ ছাড়তে বলা হয়, কিন্তু তিনি ছাড়েননি। বলেছেন, এটিই আমার ঠিকানা। রং হেডেড ছাড়া এখন কেউ নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করতে পারে না।
তিনি বলেন, আমাদের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ২০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এমন একটা ফ্যাসিজিংয়ের মধ্য দিয়ে আমরা লড়াই করেছি। এমন কোনো বছর ছিল না যে আমরা জেলে যাইনি। তখন পুলিশ ও আদালতের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা ছিল বিএনপিকেকে কত কষ্ট দিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের বিরুদ্ধে অপতথ্য রোধে আমরা বিভিন্ন সময় বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে আসছি। এক্ষেত্রে আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রবাসে আপনারাও সঠিক তথ্য তুলে ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।
ফখরুল বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আমরা কেয়ারটেকার সরকারের মধ্য দিয়ে দেশকে যে একটা গণতান্ত্রিক দেশে হিসেবে প্রতিষ্ঠার দিকে যাচ্ছিলাম সেটা ধ্বংস হয়ে গেছে। মিডিয়াকে গলাটিপে হত্যা, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট চালু করাসহ সবখানে চাটুকারিতার রেওয়াজ চালু করে দেওয়া হয়েছে। তখন সুনির্দিষ্ট কিছু মিডিয়াকে প্রমোট করার চেষ্টা করা হতো।
ফখরুল মহাসচিব আরও বলেন, বিদেশিদের ওপর নির্ভর করে আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। আমি মনে করি আমাদেরকেই সেই কাজটি করতে হবে। সার্বিক বিষয়ে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। এর আগে জনগণের রায় নিয়ে দুই বার ক্ষমতায় গিয়েছে। আবারও ইনশাআল্লাহ ক্ষমতায় যাবে। দল যখন মনে করবে তখন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। এ ছাড়া তার আরও কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে, সেগুলো শেষ করে দেশে যাবেন।
তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে কখনো কোনও রাষ্ট্রিয় বাহিনীর সমস্যা হয়নি। তবে যারা তারেক রহমানকে নির্যাতন করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
ইংল্যান্ড বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, গত ১৭ বছরে প্রবাসীদের অনেকের জায়গাজমি দখল করে নিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার লোকেরা। তারাও তাদের জায়গা জমি ফেরত চায়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেছেন প্রবাসীদের মূল্যায়ন করা হবে।
ইংল্যান্ড বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ।