রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখায় ডাকাতির চেষ্টা করে এক দল ডাকাত। তারা ব্যাংককর্মীদের জিম্মি করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে। যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং জিম্মিদের উদ্ধার করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকায় রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখায় ডাকাতির চেষ্টা করে তারা।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সহকারী পরিচালক ও মিডিয়া কর্মকর্তা তাপস কর্মকার বলেন, চুনকুটিয়া এলাকায় রূপালী ব্যাংকে ঢুকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন তিন ডাকাত। সেই তিনজন আগ্নেয়াস্ত্রসহ যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।তিনি আরও বলেন, “স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে, কিছু ‘আর্মড’ ব্যক্তি দুপুরের খাবারের পর ব্যাংকটিতে প্রবেশ করে ব্যাংকের স্টাফদের জিম্মি করে নেয়। সন্দেহভাজন ডাকাতরা ভবনের কোলাপ্সিবল গেটও বন্ধ করে দেয়। আমরা জানতে পেরেছি দুপুর ২টা দিকে তারা ব্যাংকের ওই শাখায় ঢুকে পড়ে।”
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড’কে জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকাত দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের আত্মসমর্পণে রাজি করানো হয়। ডাকাত দলের সদস্যরা জানালা দিয়ে প্রথমে অস্ত্র ফেলে দেয়। একটি বন্দুক জানালা দিয়ে ফেলা হয়। বাকি অস্ত্র ব্যাগে ভরে বাইরে ফেলে দেয় ডাকাত দলের সদস্যরা। পরে একে একে ডাকাত দলের সদস্যরা বের হয়ে আসেন। তখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তিন ডাকাতদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা চিরকূটের মাধ্যমে নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়েছিল। সেই মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে ডাকাত দলের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ভালো আছেন ভেতরে থাকা ব্যাংক কর্মকর্তা ও গ্রাহকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক খলিলুর রহমান হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ডাকাত দলের সদস্যরা অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে। ভেতরে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অর্থ লোপাটের ঘটনাও ঘটেনি।
ডাকাত দলটির আটক হওয়া তিন সদস্যই কি ব্যাংকে হানা দিয়েছিল, জানতে চাইলে এ র্যাব কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকের ভেতরে তিনজন ছিলেন। বাইরে ওদের লোক ছিল। আটক হওয়া তিনজনের বয়স ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্যাংকের ভেতর প্রবেশ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ব্যাংকের ভেতরে থাকা কর্মকর্তা ও গ্রাহকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে থাকা যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত জিম্মিদের বের করা হয়নি। ভেতরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আপাতত গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসতে পারে।