শান্তির দূতের হাতে ইসরাফিলের শিঙ্গা 

সৈয়দ ইফতেখার হোসেন, লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক

বিশ্বে বর্তমানে কয়েকটি শাখায় শ’খানেক নোবেল বিজয়ী আছেন । কেউ পদার্থ বিজ্ঞানে, কেউ অর্থনীতিতে, কেউ সাহিত্যে, কেউ বা শান্তিতে । যে কটি শাখায় নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয় তার মধ্যে গোড়া থেকে সব চেয়ে বিতর্কিত হয়ে আছে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার । মহাত্মা গান্ধিকে এই পুরষ্কারের জন্য মনোনিত করা হয়েছিল কিন্তু নোবেল কমিটি তাঁকে বিবেচনা করেনি । হিটলারও মনোনিত হয়েছিলেন । ভাগ্যিস তাঁকেও বিবেচনা করা হয় নি । এটি এখন প্রতিষ্ঠিত সত্যযে এই পুরষ্কারটি পাওয়া না পাওয়া নির্ভর করে পশ্চিমা শক্তি বিশেষ করে অ্যামেরিকা বা ইংল্যান্ডে পছন্দ অপছন্দের উপর । এই ক্ষেত্রে অ্যামেরিকার ভূমিকা অগ্রগণ্য ।

শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে প্রায় সময় নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয় । বিশ্বে গত একশত বছরে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারের মতো সারা বিশ্বে অশান্তি সৃষ্টি করার দায়ে অন্য কোন ব্যক্তি এত নিন্দিত ছিলেন না। ২০২৩ সালে তার মৃত্যুর সময় বিশ্বের প্রায় ডজন খানেক দেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে তিনি অভিযুক্ত ছিলেন ।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি উত্তর অ্যামেরিকা ও ইউরোপ ছাড়া অন্য কোন দেশে ভ্রমণ করতে পারতেন না । তবে আর যাই হোক কিসিঞ্জার তার নিজ দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয় তেমন কিছু করে নি । যেটি হয়েছে তা বহিবিশ্বে নিজ দেশের সুনামের । জড়িত ছিলেন দেশে দেশে অনেক রাষ্ট্র প্রধান বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হত্যার সাথে । তাকেও ১৯৭৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরুষ্কার দেয়া হয়েছিল । বর্তমান সময়ে শান্তিতে নোবেল জয়ী দু’জনের প্রচেষ্টায় তাদের নিজ দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে । তারা হয়ে উঠেছেন মানবতা ও সভ্যতার বিশ্ব নিন্দতি শত্রু। প্রথমজন মিয়ানমার নেত্রী কথিত ‘গণতন্ত্রের মানস কন্যা’ অং সান সূচি আর অন্যজন বাংলাদেশের শান্তির (বাস্তবে অশান্তির) দূত ড. মুহাম্মদ ইউনুস (২০০৬)। ইউনুস অবশ্য পুরষ্কারের অর্ধেকটা পেয়েছেন । বাকি অর্ধেক তার প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের । ইউনুসের নোবেল পুরষ্কারে বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ প্রথমে অত্যন্ত খুশী হয়েছিল । কিন্তু যে ইউনুসের পুরষ্কার নিয়ে সারা বাংলাদেশ এত আনন্দিত হয়েছিল সেই বাংলাদেশই কিছুদিন পর ব্যথিত হয়েছিল যখন নরওয়ের একটি টেলিভিশনের এক প্রামান্য চিত্র ইউনুসকে ‘চোর’ আখ্যায়িত করে। তিনি নরওয়ে সরকারের একটি তহবিলের অর্থ তাদের অনুমতি ছাড়া অন্য তহবিলে সরিয়ে ছিলেন।

পরবর্তিকালে অর্ধেক নোবেল জয়ী ড. ইউনুস তার নিজ দেশে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পরেন। প্রথম বিতর্ক শুরু হয় তার অবসর নিয়ে । গ্রামীণ ব্যাংক যেহেতু ব্যাংকিং আইন বলে প্রতিষ্ঠিত সেহেতু ব্যাংকের মহাপরিচালক হিসেবে তার অবসরে যাওয়ার কথা পঁয়ট্টি বছরে। কিন্তু তা তিনি করতে নারাজ । এমনকি ৭৫ বছর বয়সেও না । এর পর সরকার ব্যাংকিং আইন বলে তার পদ হতে অপসারণ করে । এর বিরুদ্ধে তিনি দেশের উচ্চ আদালতে মামলা করে হেরে যান । সেই হতে তার সাথে শেখ হাসিনা সরকারের বৈরিতা শুরু । ড. ইউনুস সব সময় বিভিন্ন ভাবে গণমাধ্যমে থাকতে পছন্দ করেন। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত মঈনুদ্দিন ফখরুদ্দিন সরকার ক্ষমতা দখল করলে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ড. ইউনুুস ‘নাগরিক শক্তি (নাশ)’ নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন যদিও এই সময় দেশে সকল ধরণের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ছিল। এক অভিনব কায়দায় তিনি তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ফোনের মাধ্যমে জনগণকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে তার দলের প্রতি সমর্থন জানানোর আহ্বান জানান। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মাত্র পাঁচজন ব্যক্তি তার উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন । এর পর তিনি প্রচলিত ধারার রাজনীতি করার স্বপ্ন ঘোষণা দিয়ে স্থগিত করলেও রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের লোভ থেকে তিনি কখনো সরে আসেননি।

২০০৮ থেকে শুরু করে ইউনুস সব সময় অ্যামেরিকার ডেমোক্রেটিক দলের দলীয় প্রশাসনের সাথে মিলে ষড়যন্ত্র করেছেন কি ভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেন সেই পরিকল্পনার ছক কেটেছেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা । অ্যামেরিকায় পড়া লেখা করার সময় তার সাথে বিল ক্লিন্টনের স্ত্রী হিলারী ক্লিন্টনের সখ্যতা গড়ে উঠে । পরবর্তি কালে ইউনুস তার গ্রামীণ ব্যাংকের তহবিল হতে এক বিরাট অংকের (জানা তথ্য মতে আড়াই লক্ষ হতে তিন লক্ষ ডলার) অর্থ ক্লিন্টন ফাউন্ডেশনে দান করেন । এই অর্থ ক্লিন্টন দম্পতি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছেন । ২০১৬ সালে ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হিলারি ক্লিন্টনের প্রতিদ্বন্ধিতার ব্যয়ের একটি বিরাট অংকের খরচ আসে ইউনুসের দেয়া তহবিল থেকে । ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত হিলারি বারাক ওবামার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন । এই সময়ও তিনি ও ক্লিন্টন ফাউন্ডেশন নানা ভাবে ইউনুসের আর্থিক সহায়তা লাভ করেন । ইউনুসকে যখন বয়সজনিত কারণে সরকার গ্রামীণ ব্যাংক থেকে আইন অনুযায়ী অপসারণ করে তখন হিলারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে এই কাজ হতে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন যা শেখ হাসিনা একাধিকবার প্রকাশ্যে বলেছেন । সব থেকে বড় ঘটনা ছিল পদ্মা সেতুর অর্থায়ন হতে বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়ার পিছনে হিলারি ক্লিন্টন ও ড. ইউনুসের ভূমিকা যা আজ বাংলার মানুষের কাছে কোন গোপন বিষয় নয় । গত পনের বছর ধরে ইউনুস অ্যামেরিকার ডেমোক্রেট দলীয় প্রশাসনের সহায়তায় প্রকাশ্যে ও গোপনে চেষ্টা করেছেন কি ভাবে বাংলাদেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে তার পরিকল্পিত বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা যায় । বিগত আগস্ট মাসে দেশে এক ছাত্র আন্দোলন তাকে সে সুযোগ এনে দেয় । যা শুরু হয়েছিল সরকারি চাকুরীতে কোটা প্রথা বাতিলের আন্দোলন যার সাথে সরকারও একমত ছিলো তবে অপেক্ষা করছিল এই বিষয়ে দেশের উচ্চ আদালতে অপেক্ষমান একটি মামলা নিষ্পত্তির জন্য । তার নিষ্পত্তি হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগে ইন্ধনে আর ইউনুসের ইসারায় শুরু হয় শেখ হাসিনার নির্বাচিত সরকার উৎখাতের আন্দোলন।

শেখ হাসিনা সরকারের একটি বড় দূর্বলতা ছিল ২০১৮ সালের পর তিনি দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও এক শ্রেণীর আমলা দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে পরেছিলেন । তাঁকে তারা দেশের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে অন্ধকারে রেখেছিলেন । তিনি তা বুঝতে পারেন নি বা বুঝার চেষ্টা করেন নি । সেটিই তাঁর কাল হয়েছিল । হয়তো চব্বিশ ঘন্টা আগেও তিনি বুঝতে পারেননি তিনি ক্ষমতাচ্যুত হচ্ছেন । ইউনুস ও অ্যামেরিকার দাবার চাল ছিল নিখূঁত । পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য শেখ হাসিনা তার নিজের বাছাই করা দেশের রাষ্ট্রপতি ও সেনা প্রধানের উপর আস্থা রেখেছিলেন। শেষ মুহূর্তে তারা তাঁকে নিরাশ করেন । ৫ আগস্ট বাংলাদেশের পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তার স্বার্থে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়ে ভারতে চলে যান। ৮ তারিখ প্যারিসে অপেক্ষমান ইউনুস দেশে ফিরে অসাংবিধানিক ভাবে জোর পূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন । তার সরকারের নামকরণ হয় উপদেষ্টা সরকার যা বিশ্বের অন্য কোন দেশে নেই । তার সরকারে তিনি যাদের উপদেষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন তাদের প্রায় সকলেই জন্মগত ভাবে আওয়ামী লীগ বিরোধী । দেশের স্বাধীনতা বিরোধীও আছেন কয়েকজন ।

ইউনুস যখন ক্ষমতা দখল করেন তখন বাংলাদেশ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি উদিয়মান অর্থনীতি। ২০২৬ সালে দেশটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির কাতারে সামিল হওয়ার কথা। সেই দেশটা গত চার মাসে ইউনুস ও তার সহকর্মীরা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশের সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছেন । দেশের বর্তমান অর্থনীতি আফ্রিকার যে কোন গৃহযুদ্ধ কবলিত অর্থনীতির চেয়েও খারাপ । দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমের অনলাইন সংষ্করণে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ‘দেশের মানুষ মাছের বদলে মাছের কাঁটা কিনে খাচ্ছে’। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষিত বেকার । সার্বিক বেকারত্ব প্রায় ১৫ শতাংশের উপর। মূদ্রাস্ফিতি ২০ শতাংশের উপর । দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি একেবারে তলানিতে। অবৈধ ইউনুস সরকারের অধীনে দেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙ্গে পরেছে।

এই তথা কথিত শান্তির দূত ইউনুসের হাত ধারেই বাংলাদেশে উত্থান ঘটেছে হিযবুত তাহিরে’র মতো সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ ধর্মান্ধ জঙ্গি গোষ্টি। আর জামায়াততো ইউনুসের সার্বক্ষণিক পরামর্শদাতা। তাদের একজন তার উপদেষ্টা। দেশে বর্তমানে কোন কার্যকর সরকার নেই বললেই চলে। মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে ইউনুস ইসরাফিলের শিঙ্গায় ফু দিয়েছেন যাতে বাংলা নামে দেশটা ধ্বংস হয়ে যায় । মানুষ মনে করে ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের অবশিষ্ট যা আছে এই পরিস্থিতি হতে রক্ষা পেতে হলে এই অবৈধ ইউনুস সরকারকে দ্রততম সময়ে একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে । ইউনুস হয়তো উপলব্দি করেছেন তার সময় ফুরিয়ে এসেছে । পাকিস্তানি শাসকদের মতো তিনিও এখন ধর্মের কার্ড খেলে বাঁচতে চাইছেন । দেশে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছেন ইউনুস আর তার উপদেষ্টারা । তিনি তা করে কতদূর যেতে পারবেন তা হয়তো কিছুদিনের মধ্যে জানা যাবে । ৫৪ বছর বয়সি বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের সরকার ক্ষমতায় এসেছে কিন্তু ইউনুস সরকারের মতো দেশ ধ্বংসকারী কোন সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় এসেছিল বলে দেশের জনগণ মনে করে না ।

Hot this week

আওয়ামী লীগের হরতাল-অবরোধের ঘোষণা, প্রেস সচিবের কড়া বার্তা

আওয়ামী লীগ সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে...

অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু, এক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণের পর অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান জোরদার হয়েছে। চলছে...

স্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য সমর্থকদের সঙ্গে আইনসভা দিবসে যোগদানের আহ্বান

স্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য সম্প্রদায়ের নেতারা সম্প্রতি জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া শুনতে...

ওয়াশিংটন ডিসিতে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ, ১৮ জনের লাশ উদ্ধার

ওয়াশিংটন ডিসিতে  সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পোটোম্যাক নদীতে...

Topics

আওয়ামী লীগের হরতাল-অবরোধের ঘোষণা, প্রেস সচিবের কড়া বার্তা

আওয়ামী লীগ সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে...

অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু, এক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণের পর অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান জোরদার হয়েছে। চলছে...

স্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য সমর্থকদের সঙ্গে আইনসভা দিবসে যোগদানের আহ্বান

স্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য সম্প্রদায়ের নেতারা সম্প্রতি জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া শুনতে...

ওয়াশিংটন ডিসিতে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ, ১৮ জনের লাশ উদ্ধার

ওয়াশিংটন ডিসিতে  সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পোটোম্যাক নদীতে...

সরকারের উচিত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা: হাসনাত আব্দুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বুধবার তার ভেরিফাইড...

নাসার দুই নভোচারীকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে মাস্কের প্রতি ট্রাম্পের আহ্বান

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস...

৩০ বছরের ইতিহাসে টানা পাঁচ দিন গোলাগুলি হয়নি নিউইয়র্ক নগরে: এনওয়াইপিডি

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা আরোপের ফলে...
spot_img

Related Articles

Popular Categories

spot_imgspot_img