শীতকালীন ঝড়ে অ্যামেরিকায় অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ভারী তুষারপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ৩০টি স্টেইটের প্রায় ৬ কোটি মানুষ। বরফের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বহু এলাকা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শীতাকলীন তীব্র ঝড় ও তুষারপাতের কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুলগুলো। বরফের নিচে ঢাকা পড়েছে রাস্তাঘাট। এ কারণে যান চলাচলও ব্যহত হয়েছে।

প্রতিকূল আবাহাওয়ার কারণে গতকাল সোমবার কানসাস, কেন্টাকি, আরকানসাস, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, মিসৌরি ও নিউ জার্সিসহ ৭টি স্টেইটে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুই হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। আর বিলম্বে ছেড়েছে ছয় হাজারের বেশি ফ্লাইট। গতকাল বিকেলে পূর্ব উপকূলের এক চতুর্থাংশের বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।

তাপমাত্রা নেমে যাওয়া ও তুষার ঝড়ের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, মঙ্গলবার গ্রেট প্লেইনস থেকে পূর্ব উপকূল পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা গড়ের চেয়ে ১০ থেকে ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট কম থাকতে পারে।

জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এই ঝড় সবচেয়ে বেশি তুষারপাত এবং হিম শীতল তাপমাত্রাসহ ‘তুষার ঝড়ের পরিস্থিতি’ বয়ে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ঝড়টি মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here