সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, দুটো একসাথেই চলতে পারে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণ ভোটের অপেক্ষায় আছে, তাই প্রাথমিক সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচিত সরকার পরে সংস্কারের বাকি কাজ করবে।’
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট চূড়ান্ত করতে হবে। ঐকমত্য ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয়। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণের কাছে যাওয়া সম্ভব, জনআকাঙ্খা পূরণ করা সম্ভব।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দ্রুত দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ছয় মাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এজন্য নির্বাচনের ঘোষণাটা তাড়াতাড়ি দরকার।
তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছরে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরায় চালুর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন সেই প্রচেষ্টাটি আবার শুরু করতে হবে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর জিয়াউর রহমান আধুনিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং মুক্তবাজার অর্থনীতির পরিকল্পনা করেন। তার হাত ধরেই কৃষি ও শিল্পে বিপ্লব ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, শহীদ জিয়ার হাত ধরে গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আজ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তার পরে বেগম খালেদা জিয়া দলকে আরও সাংগঠনিক ও শক্তিশালী করেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ। তার জন্য আমরা সবার কাছে দোয়া চাই।
আজকে তার-ই আরেক যোগ্য উত্তরসূরি উনার সন্তান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। যিনি হাসিনা-ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে নতুন নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।