বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২০০৬ সালে লগি বৈঠার হিংস্র তাণ্ডবের কাছে সেদিন বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। অনেক লড়াই সংগ্রামের পর ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সেই হারানো পথ আবার ফিরে এসেছে।’
ফরিদপুরে শহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জামায়াত ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছরের বৈষম্য থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশের মানুষ। ছাত্রজনতা যে বৈষম্যহীন মানবিক সমাজের জন্য লড়াই করেছে তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হবে আশা করি। হতাহতদের রক্তের ঋণ এই জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবেন।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘এই জেলা আমাদের বিশাল আবেগের জেলা। বিগত সরকার বিচারের নামে জামায়াত ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনালের আলী আহসান মুজাহিদ ও জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনালের আব্দুল কাদের মোল্যাকে খুন করা করেছে।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে হাসিনা সরকার তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে সেনাবাহিনী ও বিডিআরকে ধ্বংস করতে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের নামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসাদের হত্যা করেছে। তাদের পরিবার পরিজনসহ অনেককে হত্যা করে লাশ ড্রেনের পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছিল। রাতের অন্ধকারে সেই খুনিদের নিরাপদে পাঠানের ব্যবস্থা করা হয়। দেশবাসী সেই খুনিদের নাম প্রকাশসহ বিচার দেখতে চান।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘২০১৪ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে মিথ্যা ভোটের জরিপ দেখানো হয়েছে। দেশের জনগণের ওপর আস্থা না থাকায় আওয়ামী সরকার ১৮ সালের নির্বাচন রাতেই করে ফেলেছে। বিশ্ব মিডিয়া যাকে মিড নাইট ইলেকশন বলে আখ্যা দিয়েছে। আর ২৪ এর নির্বাচন মামা-ভাগ্নের নির্বাচন উল্লেখ করে তামাশার নির্বাচনের কথা বলেন। আর দৃশ্যমান উন্নয়ন করলেও বিগত সরকার লুটপাটের মাধ্যমে বহু অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।’
আগামী দিনে নির্বাচনের মাধ্যমে জামায়াত সরকার গঠন হলে তারা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। কর্মী সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মো. বদরউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা ও অঞ্চল টিমের সদস্য আবদুত তাওয়াব।