বাংলাদেশ-ভারতের টানাপোড়েনের মধ্যে দুই দেশের সীমান্তে টানাপোড়েন বেড়েই চলছে। চাপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করছে ভারত। তাতে বার বার বাধা দিচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এই উত্তেজনার মধ্যে সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ডেকে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাল নয়াদিল্লি। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মো. নুরাল ইসলামকে তলব করেছে তারা।
এ বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেড়া নির্মাণসহ সীমান্তে নিরাপত্তার বিষয়ে জানানো হয়েছে। দুই সরকারের মধ্যে এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া সব প্রটোকল ও চুক্তি মেনেছে ভারত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ কর্মকাণ্ড, চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল ও মানবপাচারের চ্যালেঞ্জকে কার্যকরভাবে মোকাবেলার মাধ্যমে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি ভারত পুনর্ব্যক্ত করেছে।
সীমান্ত নিরাপত্তার জন্যই কাঁটাতারের বেড়া, সীমান্তে বাতি লাগানো, টেকনিক্যাল ডিভাইস স্থাপন এবং গরুর বেড়ার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভারত প্রত্যাশা করে বাংলাদেশের দ্বারা আগের সব সমঝোতা বাস্তবায়িত ও আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় একটি সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ থাকবে।
এর আগে গত রোববার পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার কাছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।
তখন পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এই ধরনের কার্যকলাপ, বিশেষ করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অননুমোদিত প্রচেষ্টা এবং বিএসএফের সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল পদক্ষেপ, সীমান্তে উত্তেজনা ও ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। যথাযথ অনুমোদন ছাড়াই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চেতনাকে ক্ষুণ্ন করে।