বর্ষবরণের রাতে নিউ অরলিন্সে ইউএস আর্মি ভেটেরান শামসুদ্দিন জাব্বারের গাড়িতে হামলার ঘটনা শহরের জনজীবনে গভীর শোক ও স্তব্ধতার সৃষ্টি করেছে। তবে ভয়াবহ হামলার শোক কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে নিউ অরলিন্সের জীবনযাত্রা।
তবে অনেকেই এখনও সেই ঘটনার ভয়াবহত থেকে বের হতে পারেননি। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসলামিক স্টেইট, আইএসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে হামলা চালায় জাব্বার। ১৫ জন এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। এ ট্র্যাজেডির ভয়াবহতা ভুলে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে শহরটিতে এমনটাই আশা নিউ অরলিন্সের অন্য বাসিন্দাদের।
নিউ অরলিন্স, যা “দ্য বিগ ইজি” নামে পরিচিত, তার স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ এবং সংস্কৃতির জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। তবে শহরটি এর ইতিহাসে বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যার মধ্যে ২০০৫ সালের হারিকেন ক্যাটরিনা একটি অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা।
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় কমিউনিটিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে উল্লেখ করেন স্থানীয় বাসিন্দা মাইকেল উইলিস। তিনি জানান হারিকেইন ক্যাটরিনা পরবর্তী সময়ে একইভাবে কমিউনিটির সবাই একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
নিউ অরলিন্সের অর্থনীতি মূলত পর্যটন শিল্পের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। শহরটির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সঙ্গীত, খাদ্য, এবং সংস্কৃতির জন্য এটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। স্টেইট কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে নিউ অরলিন্সে ১৭.৮ মিলিয়ন পর্যটক ভ্রমণ করেছেন, যা শহরের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
এদিকে নিউ অরলিন্স ট্র্যাজিডিতে নিহতদের স্মরণে দেয়ালে তাদের ছবি এঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ডালাসের শিল্পী রবার্তো মারকুইয। ছয় বছর ধরে বিভিন্ন ট্র্যাজেডির ভুক্তভোগীদের তার চিত্রকর্মের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছেন মারকুইয। নিউ অরলিন্সের পর এই ধরণের আর কোন ঘটনা যেন না ঘটে, এমনটাই আশা এই শিল্পীর।