সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে ৭৯ জেলে-নাবিকসহ বাংলাদেশি দুটি মাছ ধরার জাহাজ ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। জাহাজ দুটি হলো এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর।
জাহাজ দুটি হলো এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২। সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজ দুটির মালিকপক্ষ চিঠি দিয়ে ঘটনাটি তাদেরকে অবহিত করেছে। খুলনা অঞ্চলে সাগরে মাছ ধরার সময় সোমবার বাংলাদেশের জলসীমা থেকে ৩৭ নাবিকসহ এফভি মেঘনা-৫ এবং ৪২ জনসহ এফভি লায়লা-২ কে ধরে নিয়ে যায় ভারতের কোস্টগার্ড।
এফ ভি মেঘনা-৫ এর মালিকানা প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আনসারুল হক একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন. জাহাজের নাবিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা সবশেষ খবর পেয়েছি, জাহাজ দুটিকে ভারতের উড়িষ্যার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা সামুদ্রিক মৎস্য দফতরকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে সরকারের কাছে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ চেয়ে আনসারুল বলেন, জাহাজ দুটির বিষয়ে কূটনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। আমরা প্রধান উপদেষ্টা, মৎস্য উপদেষ্টা ও মৎস্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হলে সে অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
জানা গেছে, এফভি মেঘনা-৫ এ নাবিকসহ ৩৭ জন ও এফভি লায়লা-২ এ ৪২ জনসহ জেলে ছিলেন। তবে কী কারণে জাহাজগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সামুদ্রিক মৎস্য দফতরের মো. আবদুস ছাত্তার বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে এখনো অবগত নই। অফিসে খবর নিয়ে জানাতে পারবো।
অন্যদিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জনসংযোগ বিভাগে যোগাযোগ করলে তারা জানান, বিষয়টি তারাও গণমাধ্যম মারফত জেনেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কোনও খবর পাননি।
